ছুঁলেন এমার্সন ও লেভারকে; সামনে শুরু রাফা-রজার
স্পোর্টি ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেস্কনয়া ইতিহাস নয়। বরং ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। স্বপ্ন পূরণের এক্কেবারে দোরগোড়ায় গিয়েও তিরে গিয়ে তরী ডুবল স্টেফানোস সিসিপাসের। মহাকাব্যিক প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী রেখে ১৯তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম পকেটে পুরে নিলেন নোভাক জকোভিচ।
ম্যাচের শুরুতেই রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ইঙ্গিত মিলেছিল। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে নারাজ। তবে শেষ পর্যন্ত মুখে চওড়া হাসি বজায় ছিল ২২ বছর বয়সী গ্রিক তরুণের। দ্বিতীয় সেটে আবার জোকারকে হেলায় হারিয়ে টেনিস ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লেখার স্বপ্ন দেখান সিসিপাস।
এবার সার্বিয়ান তারকার পালা। তিনি যে কোনও চমৎকারের জন্য বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় নন, সেটা প্রমাণ করার তাগিদ দেখালেন জোকার। পরের দুই সেটে গ্রিসের তরুণ তুর্কিকে মাথা তুলে দাঁড়াতেই দেননি জকোভিচ। পঞ্চম সেটে টেনিস ভক্তদের রক্তচাপ বাড়িয়ে একটা সময় ম্যাচে ফলাফল দাঁড়ায় ৫-৪। কিন্তু জকোভিচের অভিজ্ঞতার সামনে হার মানে সিসিপাসের তারুণ্য।
শেষ পর্যন্ত ৬-৭ (৬-৮), ২-৬, ৬-৩, ৬-২, ৬-৪ ব্যবধানে জিতে ২০১৬ সালের পর দ্বিতীয়বার ফরাসি ওপেন খেতাব ঘরে তোলেন জকোভিচ। সেইসঙ্গে রাফায়েল নাদাল এবং রজার ফেডেরারের একেবারে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন তিনি। দুই মহাতারকা ২০টি করে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে রয়েছে একেবারে শিখরে। একধাপ নিচে থেকে তাঁদের কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন জোকার।
এছাড়াও, ৫২ বছরের পুরনো রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন জকোভিচ। রয় এমার্সন এবং রড লেভারকে ছুঁয়ে ফেললেন তিনি। এঁরা দু’জনেই প্রত্যেকটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম অন্তত দু’বার করে জিতেছেন। নাদাল বা ফেডেরারও এই কৃতিত্ব দেখাতে পারেননি। আজ সেটাই করে দেখালেন জোকার।
তবে সিসিপাসের লড়াইকে কুর্ণিশ জানাচ্ছে টেনিস বিশ্ব। কেরিয়ারে প্রথমবার ফরাসি ওপেনে নেমেছিলেন তিনি। আর সেখানেই বাজিমাত। মেদভেদেভ, জভেরেভের মতো তারকাদের ছুটি করে দিয়ে ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি। লাল সুড়কির কোর্টে তিনি যে ভবিষ্যতের রাজা হয়ে ওঠার ক্ষমতা রাখেন, সেই ইঙ্গিত কিন্তু দিয়ে রাখলেন সিসিপাস।